নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে আসা নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ২টা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ওই নারী ও তার স্বামী বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাদের আদালতে নেওয়া হতে পারে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান বলেন, ‘ওই নারীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থানের পাশাপাশি প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামের সঙ্গে ওই নারীর পূর্বপরিচয় থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আশিক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। ১৬ মামলার আসামি, মাদকসেবক ও মাদক ব্যবসায়ী একজন মানুষের সঙ্গে বাইরের আরেকজন নারীর পরিচয় থাকা সন্দেহজনক। আমরা ঘটনার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। আশিকুল ইসলামসহ এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আশিকের দুই সহযোগী ইস্রাফিল খুদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিসোর্টের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। এর মধ্যে রিয়াজ উদ্দিনকে গত বুধবার রাতে আটক করে র্যাব। ঘটনার পর থেকে মামলার অন্য আসামিরা আত্মগোপনে আছেন। সন্ত্রাসী আশিকের সঙ্গে রিয়াজের চেনাজানা ও বন্ধুত্ব রয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ জানায়, আশিকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতন, অস্ত্র, মাদকসহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। সবশেষ গত ৭ নভেম্বর একটি ছিনতাই মামলায় পুলিশ আশিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। ১৬ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বেরিয়ে পর্যটক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।
পাঠকের মতামত: